এক সময় বাংলাদেশের বুকে হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান একসাথে বসবাস করতো, পারস্পরিক শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায়। কিন্তু আজ সমাজের সেই ছবি যেন ক্রমশই মলিন হয়ে আসছে। অসহিষ্ণুতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ছে সমাজের আনাচে-কানাচে।
ধর্মীয় উগ্রবাদ, গোড়ামি, হানাহানি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাদের উপাসনালয়, বাড়িঘর, সম্পত্তি আক্রান্ত হচ্ছে। এমনকি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করেও সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন জ্বলে উঠছে।
এই অসহিষ্ণুতার মূলে রয়েছে কুসংস্কার, অজ্ঞতা, গোঁড়ামি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র। কেউ কেউ নিজের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতে গিয়ে অন্য ধর্মকে অবমাননা করছে। আবার কেউ কেউ ধর্মকে ব্যবহার করছে নিজের স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে।
অসহিষ্ণুতার এই আগুন যদি না নিভে, তবে সমাজে বিষফোঁড়ার মতো ছড়িয়ে পড়বে। তাই এখনই সময় সবাইকে সচেতন হওয়ার। সব ধর্মের মানুষকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার – এই মনোভাব নিয়েই আমাদের বেঁচে থাকতে হবে।
শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় সহিষ্ণুতার পাঠ দেওয়া জরুরি। শিশুদের ছোটবেলা থেকেই শেখাতে হবে সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে। গণমাধ্যমকেও এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
আসুন, আমরা সবাই মিলে হাতে হাত রেখে সম্প্রীতির সেই সেতু মজবুত করি, যা ভেঙে ফেলতে চায় অসহিষ্ণুতার কালো হাত।