অভ‍্যাসের ভেতর দিয়ে আত্মোন্নতির অনুসন্ধান

Estimated read time 0 min read

আজ বইয়ের আলমারির ওপর থেকে বইটি নামিয়েছি। জেমস ক্লিয়ারের লেখা “অ্যাটমিক হ্যাবিটস”। বইটি খুলে আবার দাগ দেওয়া লাইনগুলো পড়তে শুরু করলাম। ক্লিয়ারের কথাগুলো যেন বুকের ভেতর ঢেউ খেলায়। 

অভ্যাসের গুরুত্ব, এই বিষয়টা আমরা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তু ক্লিয়ার যেন অভ্যাসের গোপন রহস্য উন্মোচন করেছেন। ছোট ছোট পরিবর্তন, অ্যাটমের মতো ক্ষুদ্র অভ্যাসগুলো যে কীভাবে আমাদের জীবনে বড় পরিবর্তন আনতে পারে, সেটা তিনি বারবার দেখিয়েছেন। 

বইয়ের কথাগুলো ভাবতে ভাবতে নিজের জীবনের কথা মনে পড়ে গেল। আমিও তো ছোটবেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাবার সাথে দাবা খেলতাম। তখন সেটা ছিল একটা খেলা, অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল কখন যে। কিন্তু সেই অভ্যাসটা আমাকে ধৈর্য, অধ্যবসায় আর যুক্তি দিয়ে ভাবতে শিখিয়েছে।

ক্লিয়ারের বইটা বলে, আমাদের পরিচয়টা আসলে আমাদের অভ্যাসের সমষ্টি। অ্যাটমিক হ্যাবিটস বইটা শুধু অভ্যাস গঠনের কৌশল শেখায় না, বরং জীবনের দর্শন শেখায়। অভ্যাসের মাধ্যমে নিজেকে গড়ার দর্শন। এই দর্শনটা আমাদের সমাজের জন্য, দেশের জন্যও কতটা প্রয়োজন!  

নিজের জীবনের কথা ভাবতে ভাবতে মনে হলো, আমাদের সমাজেও যদি ছোট ছোট ভালো অভ্যাসগুলো গড়ে তোলার চেষ্টা করা যেত, তাহলে হয়তো দেশটা আরও অনেক দূর এগিয়ে যেত।

 বইটা থেকে আমি কয়েকটা কথা মনে রাখার চেষ্টা করব:

  • ১ শতাংশ উন্নতি: প্রতিদিন একটু একটু করে উন্নতি করার চেষ্টা করব।
  • অভ্যাসের পরিবেশ: নিজের চারপাশ এমনভাবে সাজাব যেন ভালো অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা সহজ হয়।
  • পুরস্কারের গুরুত্ব: ভালো কাজের জন্য নিজেকে ছোট ছোট পুরস্কার দিয়ে উৎসাহিত করব।

বইটা বন্ধ করে জানালার দিকে তাকালাম। বাইরে বাতাসে গাছের পাতাগুলো দুলছে। নিজেকে বললাম, “আমিও পারব। ছোট ছোট পদক্ষেপে এগিয়ে যাব, আর নিজের অভ্যাস দিয়ে জীবনকে সাজিয়ে তুলব।”

You May Also Like