একালের এক আজব বিস্ময়ের নাম ফেসবুক। ভার্চুয়াল দুনিয়ার এই সাম্রাজ্যে যোগ দিয়েছে কোটি কোটি মানুষ। কেউ বন্ধু খুঁজতে, কেউ আড্ডা মারতে, কেউ বা খবর নিতে। কিন্তু এই ফেসবুক আজ পরিণত হয়েছে এক গুজবের কারখানায়।
মিথ্যা খবর, অতিরঞ্জিত তথ্য, উসকানিমূলক পোস্ট, বানোয়াট ছবি – সবকিছুরই যেন অবাধ বিচরণ এই ভার্চুয়াল দুনিয়ায়। কে কী লিখল, কে কী শেয়ার করল, তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। যেন এক অন্ধকার গহ্বরে ছুটে চলেছে অসংখ্য গুজবের কালো ঘোড়া।
সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার হলো, এই গুজবগুলো মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। হাজার হাজার মানুষ এগুলো শেয়ার করে, লাইক দেয়, মন্তব্য করে। ফলে গুজবের বিষ আরও দ্রুত ছড়ায়, আরও বেশি মানুষকে আক্রান্ত করে।
এই গুজবের কারণে সমাজে নানা ধরনের অশান্তি সৃষ্টি হয়। মানুষে মানুষে বিভেদ বাড়ে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়। এমনকি দাঙ্গা-হাঙ্গামা পর্যন্ত লেগে যায়।
গুজবের এই কারখানার মালিক কারা? কেউ বলে রাজনৈতিক দল, কেউ বলে স্বার্থান্বেষী মহল, কেউ বা বলে বিদেশি শক্তি। কিন্তু যারাই হোক, তাদের উদ্দেশ্য একটাই – সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, মানুষকে বিভ্রান্ত করা।
আমাদের উচিত এই গুজবের কারখানার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। যে কোনো খবর শুনলেই তা যাচাই করে দেখা উচিত। গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকা উচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনতা বাড়ানো উচিত।
মনে রাখতে হবে, গুজব হলো এক ধরনের সামাজিক অপরাধ। এ অপরাধের শাস্তি আমাদের সবাইকে ভোগ করতে হয়। তাই আসুন, আমরা সবাই মিলে গুজবের বিরুদ্ধে লড়াই করি। এক সুন্দর, সুস্থ সমাজ গড়ে তুলি।