বিজ্ঞান, মানুষের অফুরন্ত কৌতূহলের এক অনন্য প্রকাশ। নিরন্তর প্রশ্ন, নিরলস অনুসন্ধান আর অধ্যবসায়ের ফলে মানুষ যখন প্রকৃতির রহস্যের কোনো একটু সন্ধান পায়, তখনই তার আনন্দ ধরে না। সে আনন্দ, জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হওয়ার আনন্দ।
বিজ্ঞান, কেবল যন্ত্রপাতি আর পরীক্ষা-নিরীক্ষার নাম নয়। বিজ্ঞান হলো একটা দৃষ্টিভঙ্গী। প্রকৃতিকে, জগৎকে, এমনকি নিজেকেও এক অনুসন্ধিৎসু মনের চোখ দিয়ে দেখার দৃষ্টিভঙ্গী।
বিজ্ঞানের জগতে নেই কোনো সীমারেখা। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। এই অসীম জগৎকে জানার আকাঙ্ক্ষা যেন মানুষকে কখনোই স্থির থাকতে দেয় না। আর তাই বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা চলছেই, অপ্রতিরোধ্য গতিতে।
বিজ্ঞানের আবিষ্কার আজ আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্পর্শ করেছে। সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়িয়েছে, দুঃখ-কষ্ট লাঘব করেছে। কিন্তু বিজ্ঞানের এই আশীর্বাদ যেন কখনো অভিশাপে পরিণত না হয়, সেদিকেও আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
বিজ্ঞান যেমন মানবসভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যায়, তেমনি তার যথোচিত ব্যবহারের দায়িত্বও আমাদের ওপরই বর্তায়। বিজ্ঞানের আলো যেন মানুষের মঙ্গলের জন্যই ব্যবহৃত হয়, যেন কখনোই ধ্বংসের কারণ না হয়।
বিজ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে হবে, কিন্তু অন্ধবিশ্বাস নয়। বিজ্ঞানের পথে চলতে হবে খোলা মন নিয়ে, যুক্তি আর প্রমাণের আলোকে।
বিজ্ঞানের চর্চা কেবল বিজ্ঞানীদের একার নয়। সমাজের প্রতিটি মানুষেরই বিজ্ঞানমনস্ক হওয়া প্রয়োজন। তবেই আমরা এক আলোকিত, প্রগতিশীল সমাজ গড়ে তুলতে পারব।