১.
কোনো এক অজানা মুহূর্তে আমরা হারিয়ে ফেলেছি আমাদের স্বপ্নগুলো। সেই স্বপ্ন যা একসময় ছিল আমাদের প্রাণশক্তি, আমাদের অস্তিত্বের মূল। কবে যেন সেই স্বপ্নগুলো পালিয়েছে চোরের মতো, আর আমরা দাঁড়িয়ে আছি শূন্য হাতে, বিস্ময়ে হতবাক হয়ে।
মধ্যবিত্ত – এই শব্দটা উচ্চারণ করলেই মনে হয় একটা অসহায় শ্রেণীর কথা। যারা না ধনী, না দরিদ্র। যারা সবসময় দুই নৌকায় পা রেখে চলতে চায়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো নৌকাতেই স্থান পায় না। এই মধ্যবিত্তই ছিল একসময় বাঙালি জাতির মেরুদণ্ড। এরাই ছিল শিক্ষা-সংস্কৃতি-বুদ্ধিবৃত্তির ধারক ও বাহক। আজ সেই মধ্যবিত্তের অবস্থা করুণ। তারা যেন হারিয়ে ফেলেছে তাদের পরিচয়, তাদের অস্তিত্বের যৌক্তিকতা।
২.
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণী ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছিল। শিক্ষার প্রসার, নগরায়ন, এবং নতুন নতুন পেশার উদ্ভব – এসব মিলে তৈরি হয়েছিল একটা শক্তিশালী মধ্যবিত্ত শ্রেণী। এরা ছিল প্রগতির বাহক, পরিবর্তনের অগ্রদূত। কিন্তু আজ? আজ সেই মধ্যবিত্ত শ্রেণী যেন হাঁসফাঁস করছে। তারা যেন আটকে পড়েছে এক অদৃশ্য জালে, যেখান থেকে মুক্তির কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছে না।
মধ্যবিত্তের সংকট শুধু অর্থনৈতিক নয়। এটা একটা মানসিক সংকটও বটে। তারা হারিয়ে ফেলেছে তাদের আত্মবিশ্বাস, তাদের স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা। একসময় যারা ভাবত তারাই বদলে দেবে দেশের ভাগ্য, আজ তারা ভাবছে কীভাবে টিকে থাকবে এই নিষ্ঠুর বাস্তবতায়।
৩.
আমাদের সমাজে মধ্যবিত্তের সংজ্ঞা কী? কে মধ্যবিত্ত আর কে নয়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমরা হারিয়ে যাই এক জটিল সমীকরণে। সরকারি অফিসের একজন কেরানি যিনি মাসে পনের হাজার টাকা বেতন পান, তিনি কি মধ্যবিত্ত? নাকি সেই ব্যক্তি যিনি ছোট একটা দোকান চালান আর মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকা আয় করেন? মধ্যবিত্তের সংজ্ঞা কি শুধু আয়ের পরিমাণ দিয়ে নির্ধারিত হবে, নাকি এর সাথে জড়িত আছে শিক্ষা, সংস্কৃতি, জীবনযাপনের ধরন?
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সংজ্ঞা নির্ধারণ করা আরও জটিল। কারণ এখানে আর্থিক অবস্থার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে মানসিকতা। একজন মানুষ যিনি নিজেকে মধ্যবিত্ত ভাবেন, তিনি হয়তো আর্থিকভাবে নিম্নবিত্ত শ্রেণীর। আবার একজন যিনি আর্থিকভাবে উচ্চবিত্ত, তিনিও নিজেকে মধ্যবিত্ত হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। এই দ্বৈততা, এই অনিশ্চয়তা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সংকটকে আরও গভীর করে তোলে।
৪.
মধ্যবিত্তের স্বপ্ন ছিল সুন্দর একটা বাড়ি, গাড়ি, ছেলেমেয়েদের ভালো শিক্ষা, একটা নিশ্চিত ভবিষ্যৎ। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় এই স্বপ্নগুলো যেন অধরা থেকে যাচ্ছে। বাড়ির দাম আকাশছোঁয়া, শিক্ষার খরচ দিন দিন বাড়ছে, আর ভবিষ্যৎ? ভবিষ্যৎ যেন একটা অনিশ্চয়তার কুয়াশায় ঢাকা।
একসময় মধ্যবিত্তরা ছিল সমাজের মূল চালিকাশক্তি। তাদের মধ্যে ছিল উচ্চাকাঙ্ক্ষা, ছিল পরিবর্তনের স্বপ্ন। কিন্তু ক্রমাগত অর্থনৈতিক চাপ, সামাজিক অস্থিরতা, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা – এসব মিলে তাদের স্বপ্নগুলোকে যেন পিষে দিয়েছে। আজ তারা শুধু বেঁচে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত। উন্নতির স্বপ্ন দেখার সময় কোথায় তাদের?
৫.
মধ্যবিত্তের এই সংকট শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটা একটা জাতীয় সংকট। কারণ একটা দেশের অগ্রগতি নির্ভর করে তার মধ্যবিত্ত শ্রেণীর শক্তি ও সক্রিয়তার ওপর। যখন মধ্যবিত্ত শ্রেণী দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন দেশের অগ্রগতিও থমকে দাঁড়ায়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখা যায়, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনে মধ্যবিত্ত শ্রেণী ছিল সামনের সারিতে। ভাষা আন্দোলন হোক বা মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম হোক বা সামাজিক পরিবর্তনের আন্দোলন – সবখানেই মধ্যবিত্তের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। কিন্তু আজ সেই মধ্যবিত্ত শ্রেণী যেন হারিয়ে ফেলেছে তার লড়াকু চেতনা। তারা যেন মেনে নিয়েছে তাদের পরাজয়, তাদের অসহায়ত্ব।
৬.
মধ্যবিত্তের এই সংকটের পেছনে রয়েছে নানা কারণ। প্রথমত, দ্রুত পরিবর্তনশীল অর্থনীতি। বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আবাসনের ব্যয়বহুল প্রকৃতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্রমবর্ধমান ব্যয় – এসব মিলে মধ্যবিত্তের জীবন করে তুলেছে দুর্বিসহ। যে বেতন বা আয় দিয়ে কয়েক বছর আগে একটি পরিবার বেশ স্বচ্ছন্দে চলে যেত, আজ তা দিয়ে মাস কাটানোই দায়।
দ্বিতীয়ত, সামাজিক মূল্যবোধের পরিবর্তন। একসময় শিক্ষা, জ্ঞান, সংস্কৃতি ছিল সম্মানের বিষয়। কিন্তু আজ? আজ সম্মান ও মর্যাদার একমাত্র মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থ। ফলে, মধ্যবিত্তের সেই আদর্শবোধ, সেই মূল্যবোধ যেন হারিয়ে যাচ্ছে। তারা যেন ক্রমশ হয়ে উঠছে দিশেহারা, মূল্যবোধহীন এক শ্রেণী।
তৃতীয়ত, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ক্রমাগত দ্বন্দ্ব, সংঘাত, ক্ষমতার লড়াই মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে করেছে বিভ্রান্ত ও হতাশ। তারা আর বিশ্বাস করতে পারে না কোনো রাজনৈতিক আদর্শে, কোনো নেতার প্রতিশ্রুতিতে। ফলে, তারা ক্রমশ সরে যাচ্ছে রাজনীতি থেকে, যা একটি গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য মোটেও শুভ লক্ষণ নয়।
৭.
মধ্যবিত্তের এই সংকট শুধু অর্থনৈতিক বা সামাজিক নয়, এটি একটি মানসিক সংকটও বটে। নিজের পরিচয় হারানোর ভয়, সামাজিক মর্যাদা হারানোর আশঙ্কা, ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা – এসব মিলে মধ্যবিত্ত মানুষটিকে করে তুলেছে উদ্বিগ্ন, অবসাদগ্রস্ত।
একসময় মধ্যবিত্তরা ছিল সাহসী, স্বপ্নদ্রষ্টা, পরিবর্তনের বাহক। আজ তারা যেন ভীত, সংশয়ী, এবং আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। তারা আর ভাবতে পারে না সমাজের কথা, দেশের কথা। তাদের সমস্ত চিন্তা-ভাবনা কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়েছে নিজের ও পরিবারের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে।
এই মানসিক সংকট থেকেই জন্ম নিচ্ছে নানা সামাজিক ব্যাধি। পারিবারিক সম্পর্কের অবনতি, প্রজন্মের সংঘাত, নৈতিক অবক্ষয় – এসব যেন মধ্যবিত্ত সমাজের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। একসময় যে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো ছিল মূল্যবোধ ও আদর্শের আধার, আজ সেখানেও দেখা যাচ্ছে নানা ধরনের বিচ্যুতি।
৮.
মধ্যবিত্তের এই সংকট মোকাবেলায় কী করণীয়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমরা হারিয়ে যাই নানা তত্ত্ব ও তথ্যের জালে। কিন্তু বাস্তবতা হল, এই সমস্যার সমাধান একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া, যা শুরু করতে হবে সমাজের সকল স্তর থেকে।
প্রথমত, অর্থনীতিকে করতে হবে মধ্যবিত্ত-বান্ধব। শুধু জিডিপি বৃদ্ধির হার নয়, সেই প্রবৃদ্ধির সুফল যেন পৌঁছায় সমাজের সকল স্তরে, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে। এর জন্য প্রয়োজন সুষম কর ব্যবস্থা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, এবং মধ্যবিত্তদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা।
দ্বিতীয়ত, শিক্ষা ব্যবস্থাকে করতে হবে যুগোপযোগী ও কর্মসংস্থান-মুখী। শুধু ডিগ্রি অর্জন নয়, সেই শিক্ষা যেন ছাত্র-ছাত্রীদের প্রস্তুত করে তোলে বাস্তব জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য। এর মাধ্যমে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা পাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ।
তৃতীয়ত, সামাজিক মূল্যবোধের পুনঃপ্রতিষ্ঠা। অর্থের প্রাধান্যকে কমিয়ে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে শিক্ষা, জ্ঞান, সংস্কৃতির মর্যাদা। এটা একটা দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া, যার জন্য প্রয়োজন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন।
চতুর্থত, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সুশাসন। রাজনৈতিক দলগুলোকে ত্যাগ করতে হবে ক্ষুদ্র স্বার্থের রাজনীতি। তাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত জনকল্যাণ ও দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন। এর মাধ্যমে মধ্যবিত্ত শ্রেণী আবার ফিরে পাবে রাজনীতিতে অংশগ্রহণের আগ্রহ ও উৎসাহ।
৯.
কিন্তু এসব পরিবর্তন কি সম্ভব? নাকি এগুলো শুধুই কল্পনা? বাস্তবতা হল, পরিবর্তন সহজ নয়, কিন্তু অসম্ভবও নয়। এর জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা। সরকার, বেসরকারি সংস্থা, নাগরিক সমাজ – সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
মধ্যবিত্ত শ্রেণীকেও এগিয়ে আসতে হবে। তাদের ফিরে পেতে হবে সেই হারানো আত্মবিশ্বাস, সেই স্বপ্ন দেখার সাহস। তাদের বুঝতে হবে, তারাই পারে সমাজকে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। তাদের মধ্যে জাগ্রত করতে হবে সেই বিপ্লবী চেতনা, যা একসময় পরিবর্তন এনেছিল এ দেশে।
১০.
মধ্যবিত্তের স্বপ্নভঙ্গ – এটা শুধু একটা শ্রেণীর সংকট নয়, এটা আমাদের জাতীয় সংকট। কারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পতনের মধ্য দিয়ে ঘটছে আমাদের জাতীয় চেতনার পতন, আমাদের মূল্যবোধের অবক্ষয়।
একটা জাতির শক্তি নিহিত থাকে তার মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে। তারাই হল সেই শক্তি যা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়, যা সৃষ্টি করে নতুন চিন্তা, নতুন আদর্শ। তাই মধ্যবিত্তের পুনরুজ্জীবন শুধু একটা শ্রেণীর পুনরুজ্জীবন নয়, এটা আমাদের জাতীয় পুনর্জাগরণেরও প্রতীক।
১১.
কিন্তু এই পুনর্জাগরণের পথ সহজ নয়। এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, অঙ্গীকার, এবং কঠোর পরিশ্রম। প্রয়োজন একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, যা শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়ন নয়, মানবিক উন্নয়নকেও সমান গুরুত্ব দেয়।
মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে ফিরিয়ে আনতে হবে তাদের হারানো মর্যাদা। তাদের বোঝাতে হবে একটি সুস্থ, সবল সমাজ গঠনে তাদের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মধ্যে জাগ্রত করতে হবে সেই আত্মমর্যাদাবোধ, যা একসময় তাদেরকে করেছিল সমাজের অগ্রণী শক্তি।
১২.
মধ্যবিত্তের স্বপ্নভঙ্গ – এই শব্দগুলো শুনতে যতটা নৈরাশ্যজনক, বাস্তবতা তার চেয়েও নিষ্ঠুর। কিন্তু এই নৈরাশ্যের মধ্যেও লুকিয়ে আছে আশার আলো। কারণ প্রতিটি সংকট নিয়ে আসে নতুন সম্ভাবনা, নতুন সুযোগ।
আজ যদি আমরা মধ্যবিত্তের এই সংকটকে সঠিকভাবে মোকাবেলা করতে পারি, তাহলে এটা হয়ে উঠতে পারে আমাদের জাতীয় পুনর্জাগরণের সূচনা। এর মাধ্যমে আমরা গড়ে তুলতে পারি এমন এক সমাজ, যেখানে থাকবে না কোনো শ্রেণী বৈষম্য, যেখানে প্রত্যেকে পাবে তার যোগ্য মর্যাদা।
১৩.
শেষ পর্যন্ত, মধ্যবিত্তের এই সংকট মোকাবেলা করতে হবে মধ্যবিত্তকেই। তাদের ফিরে পেতে হবে সেই হারানো সাহস, সেই স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা। তাদের বুঝতে হবে, তারাই পারে সমাজকে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
মধ্যবিত্তকে আবার জাগ্রত করতে হবে সেই বিপ্লবী চেতনা, যা একসময় পরিবর্তন এনেছিল এ দেশে। তাদের মনে করিয়ে দিতে হবে, তারা শুধু একটি আর্থিক শ্রেণী নয়, তারা একটি মানসিকতা, একটি জীবনদর্শন।
১৪.
মধ্যবিত্তের স্বপ্নভঙ্গ – এই শব্দগুলো যেন আমাদের চোখে ধুলো না দেয়। এটা যেন আমাদের অসহায় না করে। বরং, এটা হোক আমাদের জেগে ওঠার ডাক। এটা হোক আমাদের নতুন করে স্বপ্ন দেখার অনুপ্রেরণা।
আমরা হারিয়েছি আমাদের স্বপ্নগুলো, কিন্তু হারাইনি স্বপ্ন দেখার ক্ষমতা। আমরা হারিয়েছি আমাদের পথ, কিন্তু হারাইনি পথ খোঁজার সাহস। আমরা হারিয়েছি আমাদের বর্তমান, কিন্তু হারাইনি আমাদের ভবিষ্যৎ।
১৫.
তাই আসুন, আমরা আবার স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন দেখি এমন এক সমাজের, যেখানে মধ্যবিত্ত হওয়া লজ্জার নয়, গর্বের। যেখানে শিক্ষা, জ্ঞান, সংস্কৃতি আবার ফিরে পাবে তার হারানো মর্যাদা। যেখানে প্রতিটি মানুষ পাবে তার যোগ্য সম্মান ও অধিকার।
স্বপ্ন দেখি এমন এক বাংলাদেশের, যেখানে মধ্যবিত্ত শ্রেণী আবার হয়ে উঠবে দেশের মেরুদণ্ড। যেখানে তারা আবার নেতৃত্ব দেবে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের। যেখানে তাদের চিন্তা, তাদের আদর্শ আবার গড়ে তুলবে একটি সুন্দর, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।