আজ যে বৃষ্টি এলো, তা যেন প্রাণের বৃষ্টি। একটানা তাপদাহে প্রকৃতি যেন হাঁপিয়ে উঠেছিল, মানুষের দম ফুরিয়ে আসছিল। গাছের পাতাগুলো নিস্তেজ, জলাশয়গুলোর পানি শুকিয়ে ছিল, মাঠের ঘাসগুলোও যেন জীবন হারিয়ে ফেলছিল।
বিকেলের দিকে আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেলো। মনে হলো, যেন প্রকৃতি তার সব কষ্টের কথা বলতে চাইছে আকাশের কাছে। আকাশও যেন প্রকৃতির কথা শুনে মমতা বোধ করলো, আর ছেড়ে দিলো অঝোর বৃষ্টি।
বৃষ্টি নামতেই যেন সব বদলে গেলো। গাছের পাতাগুলো সতেজ হয়ে উঠলো, জলাশয়গুলোর পানি জীবন্ত হয়ে উঠলো, মাঠের ঘাসগুলো যেন আবার নতুন করে বাঁচতে শুরু করলো।
বৃষ্টির শব্দ কানে বাজতেই যেন মনটা শান্ত হয়ে গেলো। অনেক দিন পর আজ মনটা ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারলাম। বারান্দায় বসে বৃষ্টি দেখতে দেখতে মনে হলো, যেন প্রকৃতি আমাদের সব কষ্ট ধুয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আজ বৃষ্টির সাথে সাথে আমার মনেও একটা নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। মনে হচ্ছে, আবার নতুন করে বাঁচতে শুরু করেছি। এই বৃষ্টি যেন আমার মনের অশান্তিও ধুয়ে-মুছে দিয়ে গেছে।
এই বৃষ্টি দেখে মনে হলো, প্রকৃতিই আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষক। প্রকৃতির কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। ধৈর্য, সহনশীলতা, অধ্যবসায়, এমনকি ক্ষমা করতেও শিখতে পারি প্রকৃতির কাছ থেকে।
আজকের এই বৃষ্টির জন্য প্রকৃতির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। এই বৃষ্টি আমাদের সব কষ্ট দূর করুক, আমাদের জীবনে নতুন আশার আলো জাগিয়ে দিক।