ঘৃণা

Estimated read time 0 min read

মানবসমাজের এক ভয়াবহ অন্ধকারের নাম ঘৃণা। যেখানে আলোর স্থান নেই, যেখানে কেবল বিষবাষ্পে ভরে থাকে অন্তর। ঘৃণা হলো সেই দূষিত আগুন, যা নিজের আঁচলেই থাকে, পুড়ে ছাই করে দেয় সত্ত্বাকে।

ভালোবাসার বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকে এই ঘৃণা, যেন এক নিষ্ঠুর প্রতিচ্ছবি। যেখানে ভালোবাসা জীবনকে বাঁধে সেতুতে, সেখানে ঘৃণা তাকে ভেঙে  ফেলে দেয় খাদের মধ্যে। মনুষ্যত্বের সব সুন্দর সম্ভাবনাকে গলা টিপে হত্যা করে এই ঘৃণা।

কিন্তু কেন এই ঘৃণা? ভয় থেকে, অজ্ঞতা থেকে, হিংসা থেকে। আমরা যা বুঝি না, যা আমাদের চেনা নয়, তাকেই আমরা ভয় পাই। আর সেই ভয় থেকেই জন্ম নেয় ঘৃণা।

আর এই ঘৃণার বীজ যখন সমাজে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তা অঙ্কুরিত হয় বিভেদে, বিদ্বেষে, হিংসায়। তখন মানুষ মানুষকে আর মানুষ বলে মনে করতে পারে না। তখন শুরু হয় রক্তপাত, অশান্তি, অরাজকতা।

কিন্তু ঘৃণা কি কখনো সুখ এনেছে? না, কখনো না। ঘৃণা শুধু দুঃখ, কষ্ট, বেদনা নিয়ে আসে। ঘৃণা মানুষকে অন্ধ করে দেয়, তাকে পশুর স্তরে নামিয়ে আনে।

তাই ঘৃণাকে ত্যাগ করতে হবে। ভালোবাসার আলোয় ঘৃণার অন্ধকার দূর করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা সবাই মানুষ, আমাদের সবার রক্ত একই রঙের। আমরা যদি একে অপরকে বুঝতে শিখি, একে অপরকে ভালোবাসতে শিখি, তাহলেই এই পৃথিবী হবে সত্যিকারের স্বর্গ।

You May Also Like