মানুষের মনের অতল গহ্বরের নাম লোভ। যতই পায়, ততই চায়। যতই পূর্ণ হয়, ততই অতৃপ্তির আগুন জ্বলে ওঠে। এ যেন এক অসীম মরীচিকার মতো, যা সর্বদা দূরে সরে যায়, কিন্তু মানুষকে কখনো পৌঁছতে দেয় না।
লোভ হলো অন্ধকারের এক পিশাচ, যা মানুষের আত্মাকে গ্রাস করে। যার কবলে পড়ে মানুষ সত্য-মিথ্যার, ভালো-মন্দের আর ন্যায়-অন্যায়ের সব পার্থক্য ভুলে যায়। লোভের এই অন্ধকারে মানুষ হারিয়ে ফেলে তার নিজের সত্ত্বাকে, নিজের মানবিক মূল্যবোধগুলোকে।
লোভের ফাঁদে আটকা পড়ে মানুষ সর্বনাশের পথে পা বাড়ায়। ধন-সম্পদ, ক্ষমতা, যশ – এসবের পেছনে ছুটতে গিয়ে সে ভুলে যায় তার আসল উদ্দেশ্য, তার জীবনের আসল লক্ষ্য। লোভের আগুনে পুড়ে মানুষ হয়ে ওঠে এক নিষ্ঠুর, স্বার্থপর জীব।
কিন্তু কি এই লোভের প্রতিকার? হ্যাঁ, প্রতিকার আছে। তা হলো – সন্তোষ। সন্তোষ হলো সেই আলো, যা লোভের অন্ধকার দূর করে। সন্তোষ মানুষকে শান্তি দেয়, প্রশান্তি দেয়। সন্তোষের আলোয় মানুষ তার আসল সত্ত্বাকে খুঁজে পায়, নিজেকে চিনতে পারে।
তাই আসুন, আমরা লোভকে ত্যাগ করি। সন্তোষের আলোয় নিজেদের আলোকিত করি। মনে রাখতে হবে, জীবন একটা ছোট্ট পরীক্ষা মাত্র। এখানে ধন-সম্পদ, ক্ষমতা, যশ – এসবই ক্ষণস্থায়ী। যে সুখ এসব থেকে পাওয়া যায়, তাও মায়াময়। আসল সুখ লুকিয়ে আছে সন্তোষের মধ্যে, ভালোবাসার মধ্যে, পরার্থপরতার মধ্যে।
তাই আসুন, আমরা সন্তোষকে আলিঙ্গন করি। লোভের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসি আলোর পথে। তবেই আমরা প্রকৃত সুখ লাভ করব, আমাদের জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তুলব।